রফিক উদ্দিন একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা ৷ স্ত্রী ও তিন ছেলে নিয়ে তাঁর সুখের সংসার ছিল ৷ ছিল বলার কারণ তিনি এখন আর পরিবারে থাকেন না থাকেন বৃদ্ধাশ্রমে ৷ স্ত্রী তিন বছর হলো গত হয়েছেন আর ছেলেরা কেউ তাঁর দায়িত্ব নিতে চায় না ৷ বৃদ্ধাশ্রমে তাঁর বয়সী বন্ধুদের সাথেই কেটে যায় সারাদিন ৷ তাঁদের সাথেই সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করে নেন ৷
একদিন অতীত স্মৃতিচারণ করতে করতে ছোটবেলার দিনগুলোতে ফিরে গেলেন তিনি ৷ বন্ধুদের সাথে সারাদিন ধরে বিভিন্ন খেলায় মেতে থাকা, বিকেলে ভাই বোনরা মিলে পড়াশোনা করা আর রাতে মায়ের মুখে রূপকথার গল্প শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়া ৷ তবে এখন শীতকাল থাকায় শীতের দিনের আনন্দময় জীবনের কথাই বেশি মনে পড়ছে ৷
শীতকাল আসা মানেই ছিল বার্ষিক পরীক্ষার সমাপনী৷ রফিক সাহেবের স্মৃতিতে এখনো স্পষ্ট ভাসে শেষ পরীক্ষার দিন এক দৌড়ে বাড়ি ফিরে আসার কথা ৷ এক মাস পড়াশোনার ধার কাছ মাড়াতে হবেনা এই আনন্দেই মন টইটম্বুর ৷
শীতের দিনের আরও একটি আকর্ষণ ছিল মায়ের হাতের পিঠা ৷ মনে আছে সব ভাই বোনেরা মিলে রান্নাঘরে চুলার আগুনের উষ্ণতা নেয়া আর সদ্য চুলা থেকে নামানো বিভিন্ন স্বাদের পিঠা খাওয়ার কথা ৷
শীতের রাতে কাঁথা মুড়ি দিয়ে আরামে ঘুমিয়ে থাকা আর সকালে উঠতে না চাওয়ার স্মৃতি কখনো ভোলার নয় ৷ কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরবেলায় শীতে কাঁপতে কাঁপতে ঘুম থেকে ওঠা আর পিঠা পায়েস দিয়ে নাশতা করা ছিল খুবই আনন্দময় ৷ মাঠে শিশির যখন রোদের স্পর্শে চিকচিক করত দেখে মন অদ্ভুত আনন্দে ভরে উঠত ৷ কুয়াশা কেটে গিয়ে যখন হালকা হালকা রোদ উঠত তা পোহানো ছিল সত্যি এক দারুন অভিজ্ঞতা ৷
শীতের দুপুরে আরও একটি সুন্দর অভিজ্ঞতা ছিল শীতকালীন নানা সবজি আর মাছ দিয়ে মায়ের হাতে রান্না করা সুস্বাদু তরকারী দিয়ে গরম গরম ভাত খাওয়া ৷ এছাড়া বাবার সাথে ভাই বোনেরা মিলে বিভিন্ন আনন্দ আয়োজনে ঘোরাঘুরি ছিল খুব ভালোলাগার অনুভুতি ৷
রফিক সাহেব এভাবেই নানা স্মৃতি হাতড়াতে হাতড়াতে তন্ময় হয়ে গিয়েছিলেন ৷ একসময় চোখে টলমল করে উঠলো অশ্রু ৷ সবচেয়ে কাছের বন্ধু করিম হক হাত রাখলেন তাঁর কাঁধে , আনমনে রফিক সাহেব বলে উঠলেন সে বড় সুখের সময় ছিল....... ৷
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মারুফ মুস্তাফা আযাদ
নষ্টালজিয়াকে কেন্দ্রে না রেখে বরং এটাকে কেন্দ্র করে একটা ঘটনা বর্ণনা করার চেষ্টা করুন। লেখা অনেক সুন্দর হবে। লেখাটা ভাল হয়েছে, অনেক ভাল হয়েছে।
সেলিনা ইসলাম
প্রথমেই শ্রদ্ধা জানবেন নিলঞ্জনা নিল এমন একটা থিম নিয়ে লেখার জন্য । গল্পের শুরুটা বেশ সুন্দর হয়েছিল এবং সাবলীলভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল কিন্তু থেমে গেল মাঝ পথেই ---পাঠক গল্প থেকে যেন কিছু পায় - হতে পারে সেটা শিক্ষা , তৃপ্তি অথবা আত্মগ্লানি , একজন লেখকের এখানেই সার্থকতা । আপনার লেখার হাত ভাল চেষ্টা করলে আপনি ভাল লেখা উপহার দিতে পারবেন সগর্বে । শুভেচ্ছা ও শুভকামনা
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।